শীতে ত্বকের প্রধান ৩টি সমস্যার সহজ সমাধান

শীতে ত্বকের  প্রধান ৩টি সমস্যার সহজ সমাধান, How to treat dry skin in winter at home, শীতের সময় ত্বক নিয়ে হওয়া ৩ সমস্যার সমাধান পাবেন যেভাবে



শীতের সময় ত্বক নিয়ে হওয়া ৩ সমস্যার সমাধান পাবেন যেভাবে

শীতে ত্বকের যত্নে আমাদের করনীয়:শীতকাল অনেকেরই পছন্দের কারন আবার শীতের side effect এর জন্য অনেকের কাছেই অপছন্দনীয়।শীতের ছোঁয়ায় মন মানসিকতা চনমনে হয় ঠিকি কিন্তু ত্বক যেন সহজেই প্রান হারাতে পারে এর তীব্রতায়।শীতকাল এমন একটি ঋতু যেটি বেশ কয়েক মাস বাংলাদেশে স্থায়ী থাকে এবং এর হিমবাহ ছড়াতে থাকে।

শীত মানেই যেমন শীতের ছুটি winter vacation, পিঠাপুলির ধুম অন্য দিকে skin এর জন্য ঝুঁকি। তবে শীতকালের বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন প্রায় সবারই।

শীতে শরীরে নানাধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারমধ্য উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ঠোঁট ফাটা, পা ফাটা,মুখের ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া,মুখ কালো হয়ে যাওয়া,dry skin সহ অনেক অনেক ধরনের সমস্যা। 

মাঝেমধ্যে এ সমস্যা গুলো proper treatment এর অভাবে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করে।শীত তার রুক্ষতার আবরন মেলে আমাদের ত্বক থেকে প্রাণ শুষে নায়।এমন বৈরী অবস্থায় কিছু যত্ন নেওয়া খুব অত্যাবশকীয় হয়ে দাঁড়ায়।

কুয়াশার চাদরে শীত এসে হাজির হয় আমাদের মাঝে।তবে শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয় আরও বেশকিছুদিন আগে থেকে।শীত শুরু হওয়ার আগে  কিছুদিন আগে থেকে পরিবেশ রুক্ষ শুষ্ক হতে শুরু করে।

শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। 

শীতে ত্বকের যত্ন:

শীতের হিমবাহে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ আমরা চাদর গরম কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখলেও আমাদের মুখের ত্বক থাকে খোলা।ফলে মুখের ত্বকে সরাসরি effect পড়ে।ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক,কালো,খসখসে এবং মলিন।

আমরা ঘরোয়া কিছু উপায় follow করে শীত থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারি। যেমন:

১)এসময় ত্বক খুব ভালো ভাবে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে সকাল এবং রাতে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে।

২)প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।কারন এসময় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। 

৩)এসময় অনেক টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৪)বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া ফেসপ্যাক ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫)শীত যেন সরাসরি মুখে না লাগে এজন্য যতদূর সম্ভব ঢেকে রাখতে হবে।

👉শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া Homemade pack :

pack no :1


উপকরণ :

১)কাঁচা হলুদ।

২)কাঁচা দুধ অথবা দুধের সর।

৩)অ্যালোজেল।

৪)টমেটোর রস।

প্রস্তুতকরন :

১ টি বাটিতে দুধের সর অথবা কাঁচা দুধ নিতে হবে। এরপর এর সাথে পরিমাণ মত কাঁচা হলুদের রস মেশাতে হবে।

ব্যবহার বিধি:

সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানিতে মুখ ভালো করে ধুয়ে এই Face pack টি মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।Face pack টি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।এবার অ্যালোজেলের / অ্যালোভেরার সাথে চিনি মিশিয়ে মুখে স্ক্যার্বিং করে নিতে হবে ১ মিনিট। পুনরায় মুখ কুসুম গরম পানিতে ধৌত করতে হবে।এবার একটি বাটিতে টমেটোর রস নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

উপকারীতা: এটি নিয়মিত ব্যবহারে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।মুখের শুষ্কতা কেটে যাবে।

pack no :2


উপকরণ :

১)বেসন।

২)দুধ।

প্রস্তুতকরন :

একটি বাটিতে ১ চামচ বেসন নিয়ে তাতে পরিমাণ মত দুধ মিশিয়ে একটা pack তৈরী করতে হবে।

ব্যবহারবিধি: এ প্যাকটি প্রতিদিন গোসলের সময় ব্যবহার করলে ভালে ফলাফল পাওয়া যায়। এ Face pack টি গোসলের আগে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে skin সজীবতা ফিরে পাবে, ত্বক জেল্লাদার হবে।

pack no:3


উপকরণ : 

১)অ্যালোজেল।

২)দুধ।

৩)টমেটোর রস।

প্রস্তুতকরণ:

একটি বাটিতে মুখের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমাণ মত দুধ নিয়ে এতে টমেটোর রস এবং অ্যালোজেল যোগ করতে হবে।

ব্যবহারবিধি:

প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই pack টি ব্যবহার করতে হবে।এই Face pack টি skin এ ১৫ মিনিট রেখে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

এ প্যাকটি ব্যবহারের পরে skin এ ময়েশ্চারাইজার ক্রীম ব্যবহার করতে হবে।


How to treat dry skin in winter at home


শীতে ঠোঁটের ৫টি যত্ন:

শীতের প্রধান একটি সমস্যা হলো ঠোঁট ফাটা।

ঠোঁট একটি নমনীয় কোমল ত্বক। এটি শীতে সহজে রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। শীতে এটি মহামারী হয়ে ধারন করে।অনেকের তো ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ে।এসব সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে। 


১)ঠোঁটে সবসময় পেট্রোলিয়াম জেল অথবা নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।

২)ঠোঁটের ফাটা চামড়া দূর করতে ১ মিনিট regular toothpaste ঠোঁটে লাগিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৩)ঠোঁটের চামড়া মোলায়েম রাখতে ঠোঁটে দুধের সর লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

৪)লিপস্টিক বাহ ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করে লিপ জেল অথবা ভেজা পদার্থ ব্যবহার করতে হবে। 

৫)বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।

প্রচন্ড শীতে ত্বক এবং ঠোঁটের damage হওয়ার পাশাপাশি পুরো শরীর ও কালো এবং নিষ্প্রাণ হয়ে damage হয়ে যায়। ফলে skin শুষ্ক হয়ে এর প্রাণ হারায়।হাত পা খসখসে হলে অনেক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শীতে শরীরের ত্বক সুস্থ রাখতে এসময় আমাদের ময়শ্চাইজার লোশন ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।কিন্তু ময়েশ্চারাইজার লোশন দ্বারা পুরোপুরি skin recover করা সম্ভব হয়না।এজন্য ঘরোয়া একটি প্যাক ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

উপকরণ :

১)কাঁচা হলুদ। 

২)গ্লিসারিন।

৩)দুধ।

প্রস্তুতকরন:

একটি পাত্রে পরিমাণ মত দুধ নিয়ে এতে গ্লিসারিন এবং কাঁচা হলুদের রস যোগ করতে হবে।

👉ব্যবহারবিধি: গোসলের ৩০ মিনিট  আগে পুরো শরীরে এই মিশ্রনটি লাগিয়ে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

গোসলের পরে অবশ্যই ভালো লোশন ব্যবহার করতে হবে।

শীতে শরীর এবং শরীরের skin ভালো রাখতে আমাদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।অতিরিক্ত শীত আমাদের শরীরকে অসুস্থ করে, skin damage করে দেয়।ফলে নানারকম অসুখের উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।

শীতে আমাদের ত্বক ভালো রাখার কিছু উপায়:

১)প্রচন্ড শীত থেকে skin কে বাঁচাতে আমাদেরকে অবশ্যই শীতের পোশাক /গরম পোশাক পরিধান করতে হবে।

২)প্রতিদিন সকালে ১ চানচ মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৩)প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ায় ভালো।

৪)বাহিরে যাওয়ার সময় মুখে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম এবং শরীরে লোশন ব্যবহার করতে হবে।

৫)বেশি বেশি কুসুম গরম পানি পান করতে হবে।

৬)শীতে প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৭)হালকা কুসুম গরম পানিতে প্রতিদিন গোসল করতে হবে।

৮)প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় vegetables রাখতে হবে।

এছাড়াও শীতে বিভিন্ন কারনে অথবা ইনফেকশনের কারনে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ডা.এর পরামর্শ নিতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়া আমরা পুরোপুরি সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারিনা।ঘরোয়া উপায় গুলো follow করলে খুব সহজে Healthy life lead করা যায়।ঘরোয়া টোটকা উপায়গুলো জীবনযাপনের অনেক সাহায্য করে।সঠিক ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো মানুষকে সুন্দর ভাবে জীবন পরিচালিত করতে সাহায্য করে।

উপরের উপায় এবং টিপস গুলো follow করলে শীতে আমরা খুব সহজেই অনেক সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে পারবো।

প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। তাই শীতের শুরু থেকে আমরা যদি এসব নিয়মকানুন মেনে চলি তাহলে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবো।

শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতি /উপায়গুলোর পাশাপাশি আমাদের উচিত সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তোলা।বাহিরে পরিচর্চার চেয়ে শরীরে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনেক।তাই সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাদ্যাভাসের এবং সুনিয়ন্ত্রিত জীবনের ভূমিকা অপরিসীম।


Post a Comment

Previous Post Next Post